ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে বড় ধরণের পরির্বতন আনা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক : প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রতিদিনই নতুন নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তারপরও তা ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এইচএসসি পরীক্ষার বাকি অল্প কয়েকদিন। এরমধ্যে বড় পরিবর্তন সম্ভব নয়। এরপরও কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এতে আশা করছি কার্যকর হবে। তবে পরের পরীক্ষাগুলোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হবে। এফডিসি মিলনায়তনে শুক্রবার নবম জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ‘বিতর্ক বিকাশ’ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় সারা দেশে ৫২টি মামলা হয়েছে এবং তাতে ১৫৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনো সমস্যার মূলে যেতে পারেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবার সহযোগিতা করলে প্রশ্নপত্র ফাঁস কমানো সহজ হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে সোপর্দ করুন।

তিনি বলেন, দেড় লাখ মানুষ প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, মন্ত্রী, সচিব বা বোর্ড চেয়ারম্যানের প্রশ্ন দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু ওই দেড় লাখ মানুষের প্রশ্ন দেখার সুযোগ আছে। এদের একজনও যদি তার মূল্যবোধকে ‘বিক্রি করে দেন’ তাহলেই বিরাট সর্বনাশ হয়ে যায়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আধুনিক, উন্নতমানের বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন যুগের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিশ্বমানের শিক্ষা, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও দক্ষতা। এসবের পাশাপাশি ভালো মানুষ তৈরি করতে হবে। সেচেষ্টা অব্যহত আছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও কোনো রকমের ক্রটি-বিচ্যুতি ছাড়াই প্রতিনিয়ত কিছু মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার অমানবিক নিষ্ঠুরভাবে আমাদের আক্রমণ করে চলেছেন। বিভিন্ন মিডিয়ার আমাদের অত্যাচার করছেন। যারা সমালোচনা করছেন, দোষারোপ করা ছাড়া একজনের কাছে একটি পরামর্শও পাইনি। বর্তমান পদ্ধতিতে প্রশ্ন ফাঁস হবে না, এমন শতভাগ নিশ্চিয়তা কেউ দিতে পারবে না। এখন এমন একটি পথে যেতে হবে, যেখানে প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব নয়। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বেশিরভাগ বিষয়ের প্রশ্নই পরীক্ষা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ফাঁস হয়েছে। সে প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে। শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিলেও লাভ হয়নি। এক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের পর বিভিন্ন ফেইসবুক ও মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে পরের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে নিয়মিত। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর মরিয়া চেষ্টায় সরকার পরীক্ষা শুরুর সময় আড়াই ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েও পরে সমালোচনার মুখে সরে আসে।

ব্র্যাক, এটিএন বাংলা ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি কতৃক আয়োজিত এবারের বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বরিশালের বাবুগঞ্জের রাশেদ খান মেনন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। রানারআপ হয়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ইসহাকপুর পাবলিক হাই স্কুল।

পাঠকের মতামত: